১২তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরীক্ষা-(স্কুল/সমপর্যায়)-১২.০৬.২০১৫/বাংলা এর প্রশ্ন পরুন ।

প্রশ্নঃ সাধু ও চলিত রীতি বাংলা ভাষার কোনরূপে বিদ্যমান ?

বর্ণনাঃ বাংলা ভাষার লৈখিক বা লেখ্য রুপের দুটো রীতি রয়েছে: একটি চলিত রীতি (standard colloquial Style), অপরটি সাধু রীতি (Standard written form )।

প্রশ্নঃ ভাষার মৌলিক অংশ কয়টি ?

বর্ণনাঃ প্রত্যেক ভাষারই চারটি মৌলিক অংশ থাকে। যেমন: ১. ধ্বনি (Sound) ২. শব্দ (Word ) ৩. বাক্য ( Sentence ) ৪. অর্থ (Meaning)

প্রশ্নঃ একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোন চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে ?

বর্ণনাঃ একটি অপূর্ণ বাক্যের পরে অন্য একটি বাক্যের অবতারণা করতে হলে কোলন ব্যবহৃত হয়। যেমন সভায় সাব্যস্ত হলো : এক মাস পরে নতুন সভাপতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সমাসবদ্ধ পদের অংশগুলাে বিচ্ছিন্ন করে দেখানোর জন্য হাইফেনের (-) ব্যবহার হয়। যেমন: প্রীতি উপহার। যৌগিক ও মিশ্র বাক্যে পৃথক ভাবাপন্ন দুই বা তার বেশি বাক্যের সমন্বয় বা সংযোগ বোঝাতে ড্যাস (-) চিহ্ন ব্যবহৃত হয়। যথা : তোমরা দরিদ্রের উপকার কর-এতে তোমাদের সম্মান যাবে না - বাড়বে। Thank you all # Stay with JobAssistant

প্রশ্নঃ কোন বাগধারাটি স্বতন্ত্র অর্থ প্রকাশ করে ?

বর্ণনাঃ তুলসী বনের বাঘ ,বিড়াল তপস্বী ও বকধার্মিক বাগধারাগুলোর অর্থ ভণ্ড বা ভণ্ড সাধু। অপরদিকে ভিজা বিড়াল বাগধারাটির অর্থ কপটচারী।

প্রশ্নঃ ‘চক্ষুদান’ করা বাগধারার অর্থ কী ?

বর্ণনাঃ 'চক্ষুদান করা' বাগধারাটির অর্থ চুরি বা চুরি করা । যেমন - পকেটমার আমার মানিব্যাগটি চক্ষুদান করে নিয়ে গেল।

প্রশ্নঃ নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ ?

বর্ণনাঃ 'কেবল মাত্র তুমি যাবে' বাক্যটির শুদ্ধ রুপ কেবল 'তুমি যাবে'। 'এতে আশ্চার্য হলাম' বাক্যটির শুদ্ধরুপ 'এতে আশ্চর্য/ আশ্চর্যান্বিত হলাম'। ' এ সংবাদে সন্তোষ হলাম' বাক্যটির শুদ্ধ রুপ 'এ সংবাদে সন্তুষ্ট হলাম।'

প্রশ্নঃ নিচের কোন বানানটি শুদ্ধ ?

বর্ণনাঃ অত্যাধিক বানানটির শুদ্ধ রুপ অত্যধিক, আদ্যাক্ষর বানানটির শুদ্ধ রুপ আদ্যক্ষর , আবিষ্কার বানানটির শুদ্ধ রুপ আবিষ্কার।

প্রশ্নঃ অনুবাদে পারদর্শিতা মূলত কিসের ওপর নির্ভরশীল ?

বর্ণনাঃ অনুবাদে পারদর্শিতা মূলত ভাষান্তরের উপর নির্ভর করে। মূল ভাষা ও অনূদিত ভাষার গঠনশৈলী , শব্দভাণ্ডার, প্রবাদ-প্রবচন অর্থাৎ ব্যাকরণের খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন ।

প্রশ্নঃ ‘বনস্পতি’ শব্দের সন্ধি- বিচ্ছেদ কোনটি ?

বর্ণনাঃ ব্যাকরণের সাধারণ বা বিশেষ কোনো নিয়মানুসারেই যখন কোনো কর্ম ব্যাখ্যা করা যায় না, অথচ তা সংঘটিত হয়, তখন সেই ব্যতিক্রম বৈধতা দেয়ার নাম নিপাতনে সিদ্ধ। কতকগুলো সন্ধি নিপাতনে, সিদ্ধ হয়। যেমন: বন্ + পতি = বনস্পতি , পর + পর = পরস্পর , আ+ চর্য= আশ্চর্য, বৃহৎ + পতি = বৃহস্পতি ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কোনটি স্বরসন্ধির উদাহরণ ?

বর্ণনাঃ বাংলা সন্ধি দু'রকমের : স্বরসন্ধি ও ব্যঞ্জনসন্ধি । স্বধ্বনির সঙ্গে স্বরধ্বনি মিলে যে সন্ধি হয় তাকে স্বরসন্ধি বলে । অ + আ = আ, হিম + আলয় = হিমালয় । এরুপ দেবালয় , রত্মাকর ,সিংহাসন ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ‘আকাশে চাদ উঠেছে’ - এখানে ‘আকাশে’ কোন প্রকারের অধিকরণ ?

বর্ণনাঃ বিরাট স্থানের যে কোনো অংশে ক্রিয়া সংঘটিত হলে তাকে ঐকদেশিক আধারধিকরণ বলে। যেমন পুকুরে মাছ আছে। বনে বাঘ আছে । আকাশে চাঁদ উঠেছে ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ‘জিজ্ঞাসিব জনে জনে’- এখানে ‘জনে জনে’ কোন কারকে কোন বিভক্তি ?

বর্ণনাঃ যাকে আশ্রয় করে কর্তা ক্রিয়া সম্পন্ন করে, তাকে কর্ম কাকে বলে। কর্ম দুপ্রকার : মুখ্যকর্ম গৌণকর্ম । যেমন: বাবা আমাকে (গৌণকর্ম ) একটি কলম (মুখ্যকর্ম) কিনে দিয়েছেন। সপ্তমী বিভক্তির আকৃতি (একবচনে) এ, (য়) , য়, তে, এতে। (বহুবচনে) দিগে, দিগেতে ,গুলিতে, গণে, গুলির মধ্যে, গুলোতে, গুলোর মধ্যে।

প্রশ্নঃ পূর্বপদ প্রধান সমাস কোনটি ?

বর্ণনাঃ পূর্বপদে অব্যয়যোগে নিষ্পন্ন সমাসে যদি অব্যয়েরই অর্থের প্রাধান্য থাকে, তবে তাকে অব্যয়ীভাব সমাস বলে। অব্যয়ীভাব সমাসে কেবল অব্যয়ের অর্থযোগে ব্যাসবাক্যটি রচিত হয়। যেমন জানু পর্যন্ত (পর্যন্ত শব্দের অব্যয় আ) = আজানুলম্বিত (বাহু) , মরণ পর্যন্ত = আমরণ।

প্রশ্নঃ কোনটি নিত্য সমাস ?

বর্ণনাঃ যে সমাসে সমস্যমান পদগুলো নিত্য সমাসবদ্ধ থাকে, ব্যাসাক্যের দরকার হয় না তাকে নিত্য সমাস বলে। যেমন: অন্য গ্রাম = গ্রামান্তর ; কেবল দর্শন= দর্শনমাত্র; অন্য গৃহ = গৃহান্তর ; কাল তুল্য সাপ = কালসাপ ; তুমি, আমি ও সে = আমরা , দুই এবং নব্বই = বিরানব্বই।

প্রশ্নঃ নিচের কোনটি প্রত্যয়যোগে গঠিত স্ত্রীবাচক শব্দ ?

বর্ণনাঃ কর্তৃ কারকের এক বচনে ইন্ প্রতেয় ঈ রুপ গ্রহণ করে। যেমন জ্ঞান + ইনী = জ্ঞানিনী, গুণ + ইনী = গুণিনী ইত্যাদি ।

প্রশ্নঃ ‘শৈশব’ এর প্রকৃতি- প্রত্যয় কোনটি ?

বর্ণনাঃ নিত্য স্ত্রীবাচক শব্দগুলোর পুরুষবাচক শব্দ নেই। যেমন: সতীন , সৎমা , এয়ো, দাই, সধবা, সপত্নী, কুলটা, বিমাতা, পোয়াতী , লক্ষ্মী , অন্তঃসত্ত্বা , ডাইনি , বাইজি, কলম্বিনী , শাঁখানী ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ‘হাতি’ এর সমার্থক শব্দ কোনটি ?

বর্ণনাঃ প্রদত্ত অপশনে 'হাতি' এর সমার্থক শব্দ নেই। 'হাতি' এর সমার্থক শব্দ গজ , দন্তী, দ্বিপ, হস্তী, করী, বৃংগল, নশ , বারণ, কুঞ্জর ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ ‘সাপের খোলস’- বাক্য সংকোচন কি হবে ?

বর্ণনাঃ যা লাফিয়ে চলে - প্লাবক । বুকে হেটে চলে যে - উরগ । বাঘের চামড়া - কৃত্তি ।

প্রশ্নঃ ‘কমা’ কোথায় বসে ?

বর্ণনাঃ বাক্য পাঠকালে সুস্পষ্টতা বা অর্থ -বিভাগ দেখাবার জন্য যেখানে স্বল্প বিরতির প্রয়োজন, সেখানে কমা ব্যবহৃত হয়। যেমন সুখ চাও, সুখ পাবে পরিশ্রমে। পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত একাধিক বিশেষ্য বা বিশেষণ পদ এক সঙ্গে বসলে শেষ পদটি ছাড়া বাকি সবগুলোর পরই কমা বসবে।

প্রশ্নঃ কোন প্রত্যয়যুক্ত পদে মূর্ধন্য ‘ষ’ হয় না ?

বর্ণনাঃ সংস্কৃত 'সাৎ' প্রত্যয়যুক্ত পদে ষ হয় না । যেমন- অগ্নিসাৎ ধূলিসাৎ ভূমিসাৎ ইত্যাদি।