১১তম বেসরকারি প্রভাষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন পরিক্ষা-১৩.১২.২০১৪/বাংলা এর প্রশ্ন পরুন ।

প্রশ্নঃ ভাষার মূল উপকরণ কী?

বর্ণনাঃ মানুষের কণ্ঠনিঃসৃত বাক সংকেতের সংগঠনকে ভাষা বলা হয়। অর্থাৎ বাগযন্ত্রের দ্বারা সৃষ্ট অর্থবোধক ধ্বনির সংকেতের সাহায্যে মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যমই ভাষা । ধ্বনিই ভাষার মূল উপাদান। অন্যদিকে ভাষার মূল উপকরণ বাক্য।

প্রশ্নঃ জুতো শব্দটি কোন ভাষারীতির?

বর্ণনাঃ বাংলা ভাষার প্রকারভেদ বা রীতিভেদের মধ্যে রয়েছে সাধু ও চলিতরীতি । যেমন -মস্তক> মাথা, জুতা> জুতো, তুলা> তুলো, শুকনা> বন্য> বুনো ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কোনটি দন্ত্য ধ্বনি?

বর্ণনাঃ ত,থ,দ,ধ,ন ধ্বনি হিসেবে এগুলো দন্ত্য ধ্বনি ,এবং বর্ণ হিসেবে ত বর্গীয় বর্ণ। ত,থ,দ,ধ,ন,ল,স উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী অগ্র দন্তমূল আর বর্ণ হিসেবে দন্ত্য বর্ণ।

প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যে ভোরের পাখি কে?

বর্ণনাঃ বাংলা সাহিত্যে ভোরের পাখি বলা হয় বিহারীলাল চক্রবর্তীকে । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে এ উপাধি দেন।

প্রশ্নঃ কোন শব্দটি ঘোড়ার সমার্থক?

বর্ণনাঃ ঘোড়ার সমার্থক শব্দ - অশ্ব, ঘোটক, তুরঙ্গ, বাজী, তুরগ, তুরঙ্গম , হয়। অপরদিকে ভুজঙ্গ : সাপ, কুরঙ্গ : হরিণ এবং 'বিহঙ্গ' পাখির সমার্থক শব্দ।

প্রশ্নঃ মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম কি?

বর্ণনাঃ মীর মশাররফ হোসেনের ছদ্মনাম -গাজী মিয়াঁ । মীর মশাররফ হোসেন কর্তৃক রচিত রসরচনা গাজী মিয়াঁর বস্তানী (১৮৯৯) । পরবর্তীতে গাজী মিয়াঁ তার ছদ্মনামে রুপলাভ করে। বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায়ের ছদ্মনাম ' বনফুল ' এবং চারুচন্দ্র চক্রবর্তীর ছদ্মনাম 'জরাসন্ধ'।

প্রশ্নঃ 'পুকুর চুরি' বাগধারাটির অর্থ ---

বর্ণনাঃ কাঁঠালের আমসত্ত্ব বাগধারার অর্থ -অবাস্তব বস্তু, পুকুর চুরি বাগধারার অর্থ - বেপরোয়া চুরি বা বড় ধরনের চুরি।

প্রশ্নঃ উদ্ধৃতি চিহ্ন কোথায় বসে?

বর্ণনাঃ উদ্ধরণ চিহ্ন (" ") বক্তার প্রত্যক্ষ উক্তিকে এই চিহ্নের অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। যথা - শিক্ষক বললেন, "গতকাল ইরানে ভয়ানক ভূমিকম্প হয়েছে।"

প্রশ্নঃ ইঁদুর কপালে কী?

বর্ণনাঃ ইঁদুর কপালে একটি বাগধারা। ইঁদুর কপালে বাগধারাটির অর্থ মন্দ ভাগ্য।

প্রশ্নঃ নষ্ট হওয়া স্বভাব নয় যার- এক কথায় কী হবে?

বর্ণনাঃ নষ্ট হয় যা - নশ্বর । নষ্ট হয় না যা - অবিনশ্বর।

প্রশ্নঃ দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে। --- এখানে 'ছাত্রটিকে' কোন কারকে কোন বিভক্তি?

বর্ণনাঃ কর্তায় দ্বিতীয়া বিভক্তি বসিরকে যেতে হবে। করণে দ্বিতীয়া বিভক্তি পুরাতন তাসকে খেলা যায় না। অধিকরণে দ্বিতীয়া বিভক্তি ঘরকে যাও। কর্মকারকে দ্বিতীয়া বিভক্তি দোষী ছাত্রটিকে জরিমানা করা হয়েছে। দ্বিতীয়া বিভক্তির উদারহণ একবচন - ০ অ, এ, (য়) তে, এতে। বহুবচন -রা, এরা, গুলি (গুলো ) গণ।

প্রশ্নঃ সমাস নির্ণয় করুন --'ধানের ক্ষেত'---

বর্ণনাঃ ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস : পূর্বপদে ষষ্ঠী বিভক্তির (র, এর) লোপ হয়ে যে সমাস হয়,তাকে ষষ্ঠী তৎপুরুষ সমাস বলে। যথা - চায়ের বাগান = চা বাগান, রাজার পুত্র = রাজপুত্র, খেয়ার ঘাট = খেয়াঘাট। ছাত্রসমাজ, দেশসেবা, দিল্লীশ্বর, বাঁদরনাচ, পাটক্ষেত, ছবিঘর , ঘোড়দৌড় ,শ্বশুরবাড়ি, বিড়ালছানা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ 'শোক' শব্দের বিপরীত ----

বর্ণনাঃ শোক শব্দের বিপরীত শব্দ - আনন্দ, হর্ষ, পুলক ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ উৎ + শ্বাস --এটি কোন সন্ধি?

বর্ণনাঃ উৎ + শ্বাস = উচ্ছ্বাস । এটি ব্যঞ্জন সন্ধির উদাহরণ । ত্ ও দ্ - এর পর শ্ থাকলে পর শ্ থাকলে ত্ ও দ্ এর স্থলে চ্ এবং শ্ - এর স্থলে ছ উচ্চারিত হয়।

প্রশ্নঃ বাক্যে সেমিকোলন ( ; ) থাকলে কতক্ষণ থামতে হয়?

বর্ণনাঃ বাক্যে সেমিকোলন (;) থাকলে ১ বলার দ্বিগুণ সময় থামতে হয়। তাছাড়া কমা (,) ১ বলতে যে সময় প্রয়োজন ; দাঁড়ি (।) , জিজ্ঞাসা চিহ্ন (?) ,বিস্ময়সূচক চিহ্ন (!), ড্যাস (-) ,কোলন (:) , কোলন ড্যাস (:-) থাকলে ১ সেকেন্ড সময় থামতে হয়।

প্রশ্নঃ সুহৃদ কী ধরনের শব্দ?

বর্ণনাঃ যে সব শব্দ প্রকৃতি ও প্রত্যয় যোগে গঠিত হয় এবং প্রকৃতি বিশ্লেষণ করলে যে সকল শব্দের অর্থ পাওয়া যায় তাদের যৌগিক শব্দ বলে। যেমন - গৈ + অক = গায়ক , অর্থ গান করে যে কৃ + তব্য = কর্তব্য, অর্থ যা করা উচিত বাবু + আনা = বাবুয়ানা , অর্থ বাবুর ভাব ।

প্রশ্নঃ তিনি সৎ কিন্তু কৃপন- বাক্যটি ---

বর্ণনাঃ যৌগিক বাক্য: পরস্পর নিরপেক্ষ দুই বা ততোধিক সরল বা মিশ্র বাক্য মিলিত হয়ে একটি সম্পূর্ণ বাক্য গঠন করলে তাকে যৌগিক বাক্য বলে।

প্রশ্নঃ 'খেচর' শব্দটির অর্থ কী ?

বর্ণনাঃ 'খেচর' শব্দের অর্থ আকাশে বিচরণকারী আকাশচারী । খচ্চর শব্দ দ্বারা বোঝায় ঘোড়া ও গাধার সম্মিলনে উৎপন্ন পশু, দুষ্ট, বদমায়েশ।

প্রশ্নঃ কোনটি নিত্য নারী বাচক শব্দ?

বর্ণনাঃ কতকগুলো শব্দ নিত্য স্ত্রীবাচক । এগুলোর পুরুষবাচক শব্দ নেই। যেমন - সতীন, সৎমা ,এয়ো, দাই, সধবা ইত্যাদি।

প্রশ্নঃ কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্য নয়?

বর্ণনাঃ জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ - ঝরাপলাক (১৯২৮) , ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩৬) ,বনলতা সেন (১৯৪২) , মহাপৃথিবী (১৯৪৪) , সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮) , রুপসী বাংলা (১৯৫৭) বেলা অবেলা কালবেলা (১৯৬১) জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৪৫) ।

প্রশ্নঃ 'ফুড কনফারেন্স' এর রচয়িতা কে?

বর্ণনাঃ আবুল মনসুর আহমদ ( ১৮৯৮-১৯৭৯) রচিত গল্পগ্রন্থ 'ফুড কনফারেন্স ' (১৯৪৪) । তাছাড়া আয়না (১৯৩৫) আসমানী পর্দা (১৯৬৪) তার উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থ ।

প্রশ্নঃ কালি ও কলম কী?

বর্ণনাঃ কলকাতা থেকে ১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে মাসিক কালিকলম সচিত্র সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এর সম্পাদক ছিলেন মুরলীধর বসু, শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় ও প্রেমেন্দ্র মিত্র। পরবর্তীতে শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় দীর্ঘদিন সম্পাদনা করেন। পত্রিকাটি কলকাতা কলেজ স্ট্রিট মার্কেটের বরদা এজেন্সি থেকে প্রকাশিত।

প্রশ্নঃ প্রত্যয় কত প্রকার?

বর্ণনাঃ ধাতুর বা শব্দের পরে ভিন্ন ভিন্ন অর্থে যে বর্ণ বা বর্ণসমষ্টি যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ গঠন করে সেগুলোই প্রত্যয়। প্রত্যয় দুই প্রকার । যথা-১. কৃৎ প্রত্যয় ২. তদ্ধিত প্রত্যয়।

প্রশ্নঃ বাংলা সাহিত্যের আধুনিকতম শাখা কোনটি?

বর্ণনাঃ বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন শাখা কাব্য। আধুনিক বাংলা সাহিত্যের নিদর্শন ছোটগল্প, নাটক, উপন্যাস । তবে আধুনিকতম শাখা হচ্ছে ছোটগল্প। বাংলা সাহিত্যে কনিষ্ঠতম শাখার নাম ছোটগল্প । ছোটগল্পের জনক বা পথিকৃৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।