প্রশ্নঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে মোট কয়টি অনুচ্ছেদ রয়েছে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ দেশের সংবিধান সম্পর্কে আমরা অনেকেই হয়তো জানি না। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের সংবিধান সম্পর্কে সাধারণ ধারণা থাকা উচিত। সংবিধানের সাধারণ জ্ঞানের বিষয়গুলি তুলে ধরা হলো। ১. মোট ভাগ – ১১টি ২.মোট অনুচ্ছেদ -১৫৩ টি ৩.মোট তফসিল -৭ টি ৪.মূলনীতি – ৪ টি ৫.সংবিধান রচনা কমিটির সদস্য -৩৪ জন ৬.সংরক্ষিত মহিলা আসন -৫০ টি ৭.সংবিধান সংশোধন -২/৩ অংশ ভোট ৮.রাষ্ট্রপতির অভিশংসন -২/৩ অংশ ভোট ৯.এক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নিয়োগ হবেন -২ বার। ১০.রাষ্ট্রপতির বয়স -৩৫ বছর ১১.প্রধানমন্ত্রীর বয়স -২৫ বছর ১২.সংসদ সদস্যের বয়স – ২৫ বছর ১৩.শিশুশ্রম নিষিদ্ধ – ১৪ বছরের নিচে ১৪.প্রধান বিচারপতির অবসরসীমা -৬৭ বছর ১৫.পিএসসি চেয়ারম্যানের অবসরসীমা -৬৫ ১৬.মহাহিসাব নিরীক্ষকের অবসর সীমা -৬৫ বছর ১৭.সংসদ অধিবেশন বিরতি – ৬০ দিন ১৮.সংসদ নির্বাচন -৯০ দিন ১৯.সাধারণ নির্বাচনের পর সংসদ অধিবেশন আহ্বান -৩০ দিন ২০.অধ্যাদেশ কার্যকর – ৩০ দিন
প্রশ্নঃ শিক্ষাক্রম বলা যায় কোনটিকে ?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ শিক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলবার শক্তিশালী ও কার্যকর এবং প্রয়োগযোগ্য সুষ্ঠু সবল শিক্ষা সম্বদ্ধীয় পরিকল্পনা হল শিক্ষাক্রম। ইংরেজিতে curriculum ল্যাটিন শব্দ currer থেকে curriculum শব্দের উৎপত্তি। যার অর্থ ঘোড় দৌড়ের পথ। এখানে দৌড়ের মাধ্যমে নিদিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর ধারণা প্রকাশ করা হয়। শিক্ষাকে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের পাথেয় হিসেবে ব্যবহার করে বিশাল জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে পরিণত করার জন্য অপরিহার্য হাতিয়ার হল শিক্ষাক্রম। শিক্ষাক্রমে কোন শিক্ষা পর্যায়ের কয়েক বছরের কর্মসূচি বা কাজের ইঙ্গিত থাকে। এটি গোটা বৃক্ষের মত। এটি শিক্ষার্থীর পঠিতব্য বিষয়াদির সম্মিলিত রূপ। শিক্ষার্থীর সঠিক বিকাশের লক্ষ্যে কখন, কোথায়, কিভাবে, কততুকু সেখাতে হবে এবং কোন কোন দিক হাতে কলমে শিখবে তারই রূপরেখা হল শিক্ষা ক্রম। এক কথায় যে অনুক্রমিক সুগঠিত শিখন বিন্যাস এর সাহায্যে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিখন অভিজ্ঞতা অর্জন করিয়ে তাদের আচার-আচরন ও মনভাবে এমন পরিবর্তন আনা যা একজন দক্ষ নাগরিক গড়ে তুলতে সাহায্য করে। শিক্ষাক্রমের উপাদান চারটি। যেমন- উদ্দেশ্য, বিষয়বস্তু, পদ্ধতি ও মূল্যায়ন। বিভিন্ন প্রকার শিক্ষাক্রম- ১। বিষয় কেন্দ্রিক শিক্ষাক্রম। ২। সমন্বিত শিক্ষাক্রম- একাধিক বিষয় সমন্বয়। যেমন বিজ্ঞানে- পদার্থ বিগান,রসায়ন, জীব ইত্যাদি। ৩। শিক্ষার্থী কেন্দ্রিক শিক্ষাক্রম। ৪। সমস্যা কেন্দ্রিক শিক্ষা ক্রম- বাস্তব জীবন সমস্যা সমাধান ভিত্তিক। ৫। মৌল শিক্ষাক্রম- এতে বিষয় বিভাজন নীতি পরিহার করা হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশের কোন জেলায় দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায় এবং সবচেয়ে বেশী উত্তরবঙ্গের কুড়িগ্রাম জেলায়। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১০ এবং ২০১৬ এর তথ্য পর্যালোচনা করলে দেখা যায় নারায়ণগঞ্জের দারিদ্র্যের হার ২৬ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কমে দাড়িয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ।
প্রশ্নঃ আধুনিক বাংলা গদ্যের জনক কে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ ১) বাংলা গদ্যের জনক = ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ২) বাংলা গদ্যের পথিকৃৎ = উইলিয়াম কেরি। ৩) বাংলা গদ্য রীতির প্রবর্তক = প্রমথ চৌধুরী।
প্রশ্নঃ লোকসংস্কৃতিতে কে 'শিল্পকলা পদক-২০১৭ ' পাওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ বাউলগানের শিল্পী কাঙালিনী সুফিয়া মাত্র ১৪ বছর বয়সে গ্রামীণ অনুষ্ঠানে গেয়ে শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান। এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। পেয়েছেন ৩০টি জাতীয় ও ১০টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয়তা পাওয়া গানগুলোর মধ্যে ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই’, ‘পরানের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘নারীর কাছে কেউ যায় না’ এবং ‘আমার ভাটি গাঙের নাইয়া’ গানগুলো উল্লেখযোগ্য।
প্রশ্নঃ I ..... to hospital last Sunday.
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ Last Sunday indicates Past Indefinite Tense. অতীত কালের বাধ্যবাধকতা বুঝাতে 'had to+v1" হয়।
প্রশ্নঃ কোন ধরণের অভীক্ষায় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত প্রভাব আসার সম্ভবনা কম?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষাপদ কী ? যে সব অভীক্ষাপদ বা প্রশ্নে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়েই ব্যক্তিগত প্রভাব আসার সম্ভাবনা থাকে না তাদেরকে নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা বলা হয়। অভীক্ষার নৈর্ব্যক্তিকতা বজায় থাকে বলেই একে নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষা বলা হয়ে থাকে। প্রচলিত রচনামূলক প্রশ্নের অসুবিধাগুলো দূর করার উদ্দেশ্যেই মূলত নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার প্রচলন শুরু হয়েছে। নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে নির্ভরযোগ্যতা ও যথার্থতা উভয়ই রক্ষিত হয়। >নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার প্রকারভেদ: সাধারণত: নিন্মবর্ণিত পাঁচ ধরনের নৈর্ব্যক্তিক অভীক্ষার প্রচলন রয়েছে। ১. সংক্ষিপ্ত উত্তর প্রশ্ন ২. শূণ্যস্থান পূরণ প্রশ্ন ৩. সত্য-মিথ্যা নির্ণয় ৪. মিলকরণ প্রশ্ন ৫. বহু নির্বাচনী প্রশ্ন
প্রশ্নঃ কোনটি খাঁটি বাংলা উপসর্গ?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ প্রশ্ন: উপসর্গ কাকে বলে? উপসর্গ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও। উত্তর: উপসর্গের সংজ্ঞা: যেসব বর্ণ বা বর্ণের সমষ্টি ধাতু এবং শব্দের পূর্বে বসে সাধিত শব্দের অর্থের পরিবর্তন, সম্প্রসারণ কিংবা সংকোচন ঘটায়, তাদেরকে বলা হয় উপসর্গ। যেমন—প্র, পরা, পরি, নির ইত্যাদি। উপসর্গের শ্রেণীবিভাগ: বাংলা ভাষায় উপসর্গ তিন প্রকার। যথা—(ক) খাঁটি বাংলা উপসর্গ, (খ) সংস্কৃত উপসর্গ ও (গ) বিদেশি উপসর্গ। (ক) খাঁটি বাংলা উপসর্গ: খাঁটি বাংলা উপসর্গ মোট ২১টি। যথা—অ, অনা, অজ, অঘা, আ, আড়, আন, আর, ইতি, ঊন, কদ, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা। প্রয়োগ: অ—অবহেলা, অকাজ। কু—কুকথা, কুকাজ। (খ) সংস্কৃত উপসর্গ: সংস্কৃত উপসর্গ ২০টি। যথা—প্র, পরা, অপ, সম, নি, অব, অনু, নির, দূর, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অতি, অভি, অপি, উপ, আ। প্রয়োগ: প্র—প্রচার, প্রসার। উপ—উপদেশ, উপকার। (গ) বিদেশি উপসর্গ: বাংলা ভাষায় বহু বিদেশি উপসর্গ রয়েছে। যেমন—বে, বর, বদ, ফি, গর, নিম, দর, কাম ইত্যাদি। প্রয়োগ: বে—বেয়াদব, বেসামাল। বদ—বদলোক, বদনাম।
প্রশ্নঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবস কত তারিখে পালন করা হয়?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ বিশ্ব পরিবেশ দিবস (সংক্ষেপে WED) প্রতি বছর ৫ জুন বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক কর্মোদ্যোগ আর জনসচেতনতার মাধ্যমে পরিবেশ সচেতনতার লক্ষ্যে পালিত দিবস। এই দিনটিতেই জাতিসংঘের মানবিক পরিবেশ কনফারেন্স (United Nations Conference on the Human Environment) শুরু হয়েছিল। এই কনফারেন্স হয়েছিল ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ৫ থেকে ১৬ জুন অবধি।
প্রশ্নঃ A dove is the symbol of ...
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ Doves, usually white in color, are used in many settings as symbols of love, peace or as messengers. Doves appear in the symbolism of Judaism, Christianity, Islam and Paganism, and of both military and pacifist groups.
প্রশ্নঃ শ্রেণিতে শিক্ষা সহায়ক উপকরণ ব্যবহারের মূল বিবেচ্য বিষয় কী?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ শিক্ষণীয় বিষয়কে সহজবোধ্য করে ও আকর্ষণীয়ভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে উপস্থাপন করার জন্য শিক্ষা উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এই উদ্দেশ্যে বিদ্যালয়গুলোতে গতানুগতিকভাবে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে বোর্ড, পোস্টার, চার্ট, মডেল, চিত্র ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু দেখা যায়, এই ধরণের উপকরণগুলো সহজেই নষ্ট হয়ে যায় এবং কিছু দিন পরেই এগুলি সংস্কারের প্রয়োজন হয় অথবা নতুন করে কিনতে হয়। অথচ বিদ্যলয়গুলোতে পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় নিয়মিত এই ধরণের শিক্ষা উপকরণ কেনা সম্ভব হয় না, ফলে অধকাংশ বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষা উপকরণ অপ্রতুল। আবার অনেক ক্ষেত্রেই শ্রেণিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এত বেশী হয় যে পেছনের বেঞ্চে বসা শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে শিক্ষা উপকরণ দেখতেও পায় না। এছাড়াও গতানুগতিকভাবে ব্যবহৃত শিক্ষা উপকরণগুলোর অধিকাংশই দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক হয় না বলে শিক্ষার্থীরাও কম আগ্রহি হয়। গতানুগতিক শিক্ষা উপকরণের এই রকম নানা সমস্যার কারণে শিক্ষকগণও শ্রেণিতে তা ব্যবহারে তেমন উৎসাহিত হন না। উপরোক্ত সমস্যাগুলোর বহুলাংশে সমধান দিতে পারে ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ। ইন্টারনেট থেকে সহজেই এবং বিনামূল্যে অনেক ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ করা যায়। বাজারেও স্বল্প মূল্যে CD/DVD-তে কিছু কিছু ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ কিনতে পাওয়া যায়। তাছাড়া, শিক্ষকগণ নিজেরাও তাদের প্রয়োজনমতো ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ প্রস্তুত করতে পারেন। ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সহজে নষ্ট হয় না এবং বছরের পর বছর সংরক্ষণ করা যায়। একজন শিক্ষক একবার তার প্রয়োজনীয় ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ সংগ্রহ বা প্রস্তুত করে নিলে তা বারবার ব্যবহার করতে পারবেন, এবং অন্যান্য শিক্ষকের সাথে শেয়ার/বিনিময় করতে পারবেন। ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ দৃষ্টিনন্দন ও চিত্তাকর্ষক হয় বলে শিক্ষার্থীরাও শিখতে মনোযোগি ও আগ্রহি হয়। মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের সাহায্যে বড় করে দেখানো যায় বলে অধিক সংখ্যক শিক্ষার্থীর শ্রেণিতেও সকলেই তা দেখতে পারে, শুনতে পারে এবং বুঝতে পারে।
প্রশ্নঃ ডিপিএড উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের কোন প্রতিষ্ঠান সনদ প্রদান করে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ National Academy for Primary Education is a Bangladesh Government academy responsible for providing training to government primary school teachers and is located in Mymensingh, Bangladesh. It is one of 25 key government administration training institutions. History National Academy for Primary Education was established in 1978 as the Academy for Fundamental Education. It was renamed in 1985 as the National Academy for Primary Education. It is under the Ministry of Primary and Mass Education. The director-general of the National Academy of Primary Education, Fazlur Rahman, was killed in a road crash on 13 May 2017.
প্রশ্নঃ 'হরতাল' শব্দটি কোন ভাষার?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ ‘হরতাল’ শব্দটির উৎস গুজরাটি ভাষা। গুজরাটিতে ‘হর’ কথার অর্থ প্রত্যেক। আর ‘তাল’ অর্থ তালা। সুতরাং, ‘হরতাল’ বলতে প্রতি দরজায় তালা লাগানোর কথা বোঝানো হচ্ছে। আমরা জানি, বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য হরতাল ডেকে যানবাহন, হাটবাজার, দোকানপাট, অফিস-আদালত প্রভৃতিকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করা হয়। ইংরেজি ‘জেনারেল স্ট্রাইক’ কিংবা হিন্দি ‘বনধ্’ শব্দকে হরতালের প্রতিশব্দ বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। ১৯২০-৩০ সালের ভারতে রাজনীতির জগতে হরতাল নতুন মাত্রা যোগ করে। এ সময় মহাত্মা গান্ধী তার নিজ এলাকা গুজরাটে পরপর অনেকগুলো ব্রিটিশ বিরোধী বনধ্ বা হরতালের ডাক দিয়ে হরতালকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়েছিলেন।
প্রশ্নঃ প্রাথমিক শিক্ষা স্তরকে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ স্তর ধরা হলে এই স্তর শেষে শিক্ষার্থীগণ যে জ্ঞান , দক্ষতা ,দৃষ্টিভঙ্গি ও মূল্যবোধ অর্জন করে তার সমষ্টি হলো -
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ শিখন ফল -------------------- -------------------- আচরণিক উদ্দেশ্যের মধ্যে যতটুকু অর্জিত হওয়া সম্ভব অর্থাৎ বাস্তবায়নকৃত আচরণিক উদ্দেশ্যকে শিখনফল বলে। শিখন- শেখানো কার্যক্রম পরিচালনার ফলে শিক্ষার্থীরা যে সকল সুনির্দিষ্ট গান,দক্ষতা বা যোগ্যতা অর্জন করতে পারে তাই শিখনফল। শিখনফল লেখার নিয়ম- ১। শিখন ফল লেখার সময় ক্রিয়াপদ (Action Verb) ব্যবহার করতে হয়। ২। এটি ভবিষ্যৎ কালে লিখতে হয়। ৩। এটি এমনভাবে লিখতে হয় যাতে শিক্ষার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ শিখন চাহিদা সনাক্ত করে। ৪। এটি হবে SMART অর্থাৎ Specific, Measurable, Achievable, Realistic & Timing. ৫। এর ভাষা হবে সুস্পষ্ট ও বোধগম্য। ৬। শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা পরিমাপ করা যায় এমন পরি ভাষা ব্যবহার করতে হয়। ব্যবহৃত Action Verb: জ্ঞান ও মননশীলতার ক্ষেত্র- জ্ঞানের স্তর- বলতে পারবে, লিখতে পারবে। বোধগম্যতার স্তর- ব্যাখ্যা করতে পারবে। প্রয়োগমূলক স্তর- প্রদর্শন করতে পারবে, সমাধান করতে পারবে। বিশ্লেষণমূলক স্তর- পার্থক্য নিরূপণ করতে পারবে। সংশ্লেষণ মূলক স্তর- নকশা তৈরি করতে পারবে, সংযোগ করতে পারবে। মূল্যায়ন মূলক স্তর- তুলনা করতে হবে। আবেগিক ক্ষেত্র- গ্রহণ মূলক স্তর- উপলব্ধি করতে পারবে। । সাড়া প্রদান স্তর- উৎসাহিত করতে পারবে। মূল্যবোধ সৃষ্টির স্তর- মতামত প্রদান করতে পারবে। সাংঘটনিক স্তর- নিজে করতে পারবে। মনপেশীজ স্তর- অনুভূতিমূলক স্তর- সনাক্ত করতে পারবে। বিন্যাসমূলক স্তর- প্রস্তুতি নিতে পারবে। নিয়ন্ত্রিত সাড়া প্রদান স্তর- অনুশীলন করতে পারবে, চেষ্টা করতে পারবে। যান্ত্রিকতার স্তর- বৃদ্ধি করতে পারবে। প্রত্যক্ষ সাড়ার স্তর- পরিচালনা করতে পারবে। অভিযোজন স্তর- খাপ খাওয়াতে পারবে।
প্রশ্নঃ বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থ কোনটি?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ ১.বাংলা ভাষায় মুদ্রিত প্রথম গ্রন্থের নাম কি? উঃ কথোপকথন(১৮০১)। ২.বাংলা গদ্য সাহিত্য বিকাশে বিশেষ অবদান রয়েছে- উঃ ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের। ৩.বাংলা সাহিত্যের প্রথম গদ্যগ্রন্থ কোনটি? উঃ কৃপার শাস্ত্রের অর্থভেদ।
প্রশ্নঃ What is the adjective form of the word ' home' ?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ homely (adjective). BRITISH (of a place or surroundings) simple but cosy and comfortable, as in one's own home. "a modern hotel with a homely atmosphere" Similar: cosy, home-like, homey, comfortable, snug, welcoming.
প্রশ্নঃ আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা কাকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠেছে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের জন্য উৎসাহ দেয়া হয় এবং সমাজের একজন উৎপাদনশীল সদস্য হিসেবে প্রতিষ্ঠালাভের জন্য যে সকল দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলো অর্জনে সহায়তা করা হয়। সাধারণ অর্থে জ্ঞান বা দক্ষতা অর্জনই শিক্ষা। ব্যাপক অর্থে পদ্ধতিগতভাবে জ্ঞানলাভের প্রক্রিয়াকেই শিক্ষা বলে। তবে শিক্ষা হল সম্ভাবনার পরিপূর্ণ বিকাশ সাধনের অব্যাহত অনুশীলন। বাংলা শিক্ষা শব্দটি এসেছে 'শাস' ধাতু থেকে। যার অর্থ শাসন করা বা উপদেশ দান করা। অন্যদিকে শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ এডুকেশন এসেছে ল্যাটিন শব্দ এডুকেয়ার বা এডুকাতুম থেকে। যার অর্থ বের করে আনা অর্থাৎ ভেতরের সম্ভাবনাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা বা বিকশিত করা। সক্রেটিসের ভাষায় “শিক্ষা হল মিথ্যার অপনোদন ও সত্যের বিকাশ।” এরিস্টটল বলেন “সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা”। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাষায় “শিক্ষা হল তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে।” আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা শিশুকে কেন্দ্র করে বেড়ে উঠেছে।
প্রশ্নঃ The sea is ..... the hotel
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ Nearby is an adverb or an adjective meaning 'not far away'.
প্রশ্নঃ 'সংশপ্তক' ভাস্কর্যটি কোথায় অবস্থিত ?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ সংশপ্তক বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতর্পণমূলক ভাস্কর্যগুলোর অন্যতম। এই ভাস্কর্যটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। এর স্থপতি শিল্পী হামিদুজ্জামান খান।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে ৫+ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে কী হিসেবে দেখা হচ্ছে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রাথমিক শিক্ষা আরম্ভের পূর্বে ৬ বছরের কম বয়সের শিশুদের জন্য আনুষ্ঠানিক শিক্ষাব্যবস্থা। ৩ থেকে ৫/৬ বছর বয়সী শিশুদের শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক অবস্থান অনুযায়ী তাদের যত্ন, বেড়ে উঠা এবং শিশু অধিকার নিশ্চিত করা, খেলাধুলা, আনন্দ, অক্ষরজ্ঞান এবং গণনার হাতেখড়ির মাধ্যমে তাদের উন্নয়ন এবং শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সময় এটি। প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে সাধারণত দুটি ধাপে বিভক্ত করা হয় ৩-৫ বছরের শিশুদের জন্য নার্সারি/প্লে গ্রুপ বা প্রাক-কিন্ডার গার্টেন এবং ৫-৬ বছরের শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিক বা কিন্ডারগার্টেন। অবশ্য, কোন কোন স্কুলে ৩-৪ বছরের শিশুদের জন্য প্লে-গ্রুপ, ৪-৫ বছরের শিশুদের জন্য নার্সারি, ৫-৬ বছরের শিশুদের জন্য কেজি-১ এবং ৬-৭ বছরের শিশুদের জন্য কেজি-২ শ্রেণীতে শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। স্কুল এবং প্রতিদিনকার জীবন-যাপনে সফলতা আনার জন্য শিশুকাল থেকেই দক্ষতা, জ্ঞান এবং আচরণ শেখানোর জন্য প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা। এটি শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার উপযোগী এবং সকল ধরনের উন্নয়নের জন্য কাজ করে। এর কয়েকটি লক্ষ্য হলো প্রাতিষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিক শিক্ষার প্রতি ঝোঁক তৈরির জন্য শিশুদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে প্রস্ত্তত করানো, শিশুদের উপযোগী খেলাধুলার মাধ্যমে শিশুর সামাজিকীকরণ শিক্ষা, শিশুদের গান, নাচ, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন. গল্প বলা, গণনা এবং বর্ণমালা শিক্ষার ক্ষেত্রে দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস তৈরি করা। স্বাধীনতার পর থেকে, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং ছোট শিশুদের উপযুক্ত যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান সচেতনতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর ফলস্বরূপ দিবাযত্নকেন্দ্র এবং নার্সারি স্কুলের আদলে ছোট শিশুদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুদরাত-ই-খুদা (১৯৭৪) এবং মফিজউদ্দিন আহমেদ (১৯৮৮)-এর নেতৃত্বাধীন শিক্ষা কমিশন শিশুদের শিক্ষার গুরুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং দেশে এর প্রচলনের জোর সুপারিশ করেছে। এই শিক্ষা কমিশন শহর ও শিল্প এলাকায়, বিশেষত যাদের অভিভাবকগণ বাইরে কাজ করেন, সে সকল শিশুদের জন্য নার্সারি ও কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করে। মফিজউদ্দিন কমিশন যেখানে বেসরকারি উদ্যোগ নেই এরূপ সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুশ্রেণী খোলার সুপারিশ করেছে। ১৯৯৫ সালে গঠিত সবার জন্য শিক্ষা-সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি ‘সবার জন্য শিক্ষা’ লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে ছোট শিশুদের শিক্ষার গুরুত্ব স্বীকার করে এবং প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রবর্তন ও উন্নয়নের লক্ষ্যে বেশ কয়েকটি সুপারিশ পেশ করে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের জন্য ১৯৯৭ সালে গঠিত কমিটিও সুপারিশ করে যে, ১ম শ্রেণির প্রথম ছয়মাস প্রস্ত্ততিমূলক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ব্যয় করা যায়। কমিটি শিশুদের শিক্ষা দানের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মহিলা শিক্ষকদের নিয়োগ করারও পরামর্শ দেয়। সকল শিক্ষা কমিশনই প্রতিটি ছোট শিশুকে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের সুপারিশ করলেও আজ অবধি সে লক্ষ্যে তেমন কিছু করা হয় নি। অবশ্য, বাংলাদেশ সরকার স্বীকার করেছে যে, পাঁচ বছর বয়সের ঊর্ধ্বের শিশুদের জন্য একটি পৃথক প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থাকা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি করে শিশুশ্রেণি খোলার প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে এ কাজটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংগঠন/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নার্সারি বিদ্যালয়সমূহের মাধ্যমে করা হচ্ছে। শুরুতে চাহিদা পূরণের জন্য বেসরকারিভাবে কয়েক হাজার প্রিস্কুল চালু করা হয়, কিন্তু এগুলি চাহিদানুযায়ী যথেষ্ট নয়। তাই, শিশুরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতে অভিভাবক ও বড়দের কাছ থেকেই তাদের শিশুকালীন শিক্ষা লাভ করে থাকে। যে সকল শিশুর অভিভাবক ও অন্যান্য সদস্য শিক্ষিত নয়, তারা থেকে যায় অবহেলিত। তবে পাঁচ বছরের উপরের বেশিরভাগ শিশুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে প্রাক-প্রাথমিক ক্লাসে যোগদান করে আসছে। দেশে কতগুলি নার্সারি বিদ্যালয় আছে, তা বলা কঠিন। কতিপয় তথ্য অনুযায়ী, কিন্ডারগার্টেন স্কুলের সংখ্যা ২,৫০০, কিন্ডারগার্টেন সমিতি এ সংখ্যাকে প্রায় ৫,০০০ বলে থাকে। এগুলির অধিকাংশই শহর এলাকায় অবস্থিত। সাধারণত বিশেষ কোন সুযোগ-সুবিধা ছাড়াই এ সকল স্কুল কিন্ডারগার্টেন এবং প্রাথমিক উভয় ধরনের শিক্ষার জন্যই চালু করা হয়েছে। পরবর্তীকালে এগুলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে কলেজে রূপান্তরিত হয়। কিছু কিছু এনজিও বিশেষত দরিদ্রদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার প্রয়োজন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করছে। এগুলি সাধারণত বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করে থাকে। প্রায় ৩৮,০০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সমসংখ্যক বেসরকারি স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। যথাযথ প্রশিক্ষিত শিক্ষক ও সহায়ক সামগ্রী ব্যতিরেকেই এ সকল ক্লাস পরিচালিত হয়। অধিকাংশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রাক-প্রাথমিক স্কুলে ভৌত সুবিধাদি অত্যন্ত অপ্রতুল। এলাকা ও স্কুলের পরিসম্পদ ভেদে স্কুলের বেতনের তারতম্য ঘটে থাকে। থানা বা ইউনিট পর্যায়ে স্কুলের বেতন খুবই কম। সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলিতে সাধারণত বিনা বেতনে পড়ানো হয়। এনজিও কর্তৃক পরিচালিত কিন্ডারগার্ডেন স্কুলে বিনামূল্যে পড়ায় অথবা নামমাত্র বেতন নেওয়া হয়। ঢাকা এবং অন্যান্য বড় শহরের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্রবেতন অতি উচ্চ। উপরন্তু, প্রতি শিক্ষাবর্ষের প্রারম্ভে ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে এককালীন মোটা অঙ্কের ফিস বা উন্নয়ন চার্জ নেওয়া হয়। বেসরকারি স্কুলগুলিতে এত বিপুল পরিমাণ ফিসগ্রহণ রোধকল্পে কোন কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বা প্রতিষ্ঠান নেই। বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধীকরণ সফলভাবে বাস্তবায়িত না হওয়ার কারণে কিন্ডারগার্টেনে অধ্যয়নের উপযুক্ত শিশুর সঠিক সংখ্যা নিরূপণও সম্ভব নয়। তথাপি, বিশ্বব্যাংক কর্তৃক ১৯৯৫ সালে প্রদত্ত সম্ভাব্য জনসংখ্যার পূর্বানুমান থেকে প্রাক্কলন করা হয়েছে যে, দেশে প্রাক-প্রাথমিক (৩-৫ বছর) শ্রেণিভুক্ত ৯.১২ মিলিয়ন শিশু রয়েছে। দেশব্যাপী কোন জরিপ পরিচালিত না হওয়ায় প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহণকারী শিশুদের প্রকৃত সংখ্যা জানাও কঠিন। ৩৮,০০০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গড়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী ধরে নিলে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা দাঁড়ায় ১.৯ মিলিয়ন। যদি দেশে প্রায় ৫,০০০ কিন্ডারগার্টেন স্কুল থাকে এবং প্রাক-প্রাথমিক ১ম শ্রেণিতে গড়ে ৫০ জন শিক্ষার্থী থাকে, তবে এ সকল স্কুলে প্রায় ০.২৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থী থাকবে। ঐ দুটো সংখ্যা মিলিয়ে হিসাব দাঁড়ায় ২.১৫ মিলিয়ন। এটা ঐ বয়স গ্রুপের মোট জনসংখ্যার ২৪%। অবশ্য একটা উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী এনজিওদের স্কুলেও যোগ দিয়ে থাকে। কিন্ডারগার্টেন স্কুলসমূহের জন্য কোন একক বা সাধারণ পাঠ্যক্রম নেই। সম্প্রতি (১৯৯৮) জাতীয় পাঠ্যক্রম বোর্ড (এনসিটিবি) প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর জন্য একটি পাঠ্যপুস্তক (যার নাম দেখাশুনা) প্রণয়ন করেছে। সকল স্কুলে বেসরকারিভাবে প্রচলিত সকল কিন্ডারগার্টেন নিজস্ব কিছু শিক্ষার দিক নির্দেশনা (পাঠ্যক্রম পাঠ্যসূচি) অনুসরণ করে থাকে। ১৯৯৮ সালে কারিতাস এডুকেশনাল প্রোগ্রামের সহযোগিতায় ঢাকায় ইনস্টিটিউট অফ চাইল্ডহুড এডুকেশন প্রতিষ্ঠিত হয়, যা কে.জি স্কুলসমূহের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য প্রণয়নসহ বিষয়বস্ত্ত চিহ্নিত করে এবং শিক্ষকদের জন্য উপযুক্ত শিক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান করে। বর্তমানে দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য কোন দিক-নির্দেশনামূলক নীতিমালা নেই। অধিকাংশ স্কুলে শিশুদের আনুষ্ঠানিক ১ম ও ২য় শ্রেণির মতো আনুষ্ঠানিক পড়া, লেখা, গণনা, যোগ, বিয়োগ শিক্ষা দেওয়া হয়। অধিকন্তু, শিশুদের সাফল্যের পর্যায় পরিমাপের জন্য নিয়মিত পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। কিছু স্কুলে শিক্ষার মাধ্যম হচ্ছে ইংরেজি। কোন কোন স্কুলে শিশুদের বাংলা, ইংরেজি, ভাষা, পরিবেশ, গণিত-এর পুস্তকাদি পড়তে এবং দশ পর্যন্ত নামতা ইত্যাদি মুখস্থ করতে বলা হয়। কিছু স্কুলে ছোট শিশুদের আরবি অক্ষর পড়তে ও লিখতে শিখানো হয়। যদি শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত ১:৫০ হয়, তবে এ পর্যায়ে শিশুদের পরিচালনাকারীর আনুমানিক সংখ্যা হচ্ছে ৪৮,০০০। তাদের অধিকাংশই ছোট শিশুদের পাঠদানে বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত নয়। কিভাবে পড়াতে হয়, এটা না জেনেই সাধারণত পাঠ দান করে থাকে। প্রাকস্নাতক, স্নাতক এবং কখনও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী ব্যক্তিগণকে এ সকল শিশুদের শিক্ষা দানে নিয়োগ করা হয়। এদের অধিকাংশই মহিলা। ২০০০ সালের শিক্ষা নীতিতে বিশেষ কিছু স্কুলে ১ বছর ব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলা হলেও এখন প্রায় সকল স্কুলে করা হচ্ছে। এর বিকল্প হিসেবে ভাবা হয়েছিল যে ক্লাস ওয়ানের আগে ৬ মাস প্রিপেটরি শিক্ষা এবং ২০০৫ সাল নাগাদ এটিকে ১ বছর মেয়াদি করা হবে বলে সেই সময় বলা হয়েছিলো। এর পরে বলা হয়েছিলো যে এই প্রিপ্রাইমারিতে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য এলাকার লোকেরাই এটির ব্যয়ভার বহন করবে। জাতীয় শিক্ষা কমিশন ২০০৩ এ বলা হয়েছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি ৫ বছর বয়সী সকল শিশুদের স্কুলে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করবেন এবং প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ঘটাবেন। এই উদ্দেশ্যে সরকারিভাবে প্রত্যেকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয়টি করে নতুন শ্রেণীকক্ষ তৈরি এবং বাড়তি ছয়জন করে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়। জাতীয় শিক্ষানীতি-২০০৯ এ ৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ২ বছরের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার সুপারিশ করা হয়। যদিও সকল শিক্ষা কমিশন, নীতি এবং কমিটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার কথা বলেছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত এটি পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয় নি। বেসরকারিভাবে নার্সারি স্কুলগুলি এটি করছে যদিও তা পর্যাপ্ত নয়। [কামরুন্নেসা বেগম এবং সারা সুলতানা] সূত্র: বাংলাপিডিয়া
প্রশ্নঃ 'শিখন হচ্ছে শিক্ষার্থীদের আচরণের পরিবর্তন' যা পর্যবেক্ষণযোগ্য ও পরিমাপযোগ্য' -শিখনের কোন শিখন তত্ত্ব অনুযায়ী ?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ আধুনিক মনোবিজ্ঞানে ‘বিহেভিয়রিজম’ একটি নতুন ধারা। বাংলায় একে আচরণবাদ বা ব্যবহারবাদ বলে আখ্যায়িত করা হয়। প্রাগমেটিজম বা প্রয়োগবাদ কিংবা কার্যবাদ নামক আধুনিক দার্শনিক তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রধাণত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মনোবিজ্ঞানের আচরণবাদ তত্ত্বের বিকাশ ঘটে; এ তত্ত্বের প্রথম প্রবক্তা ছিলেন চিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জন বি. ওয়াটসন (১৮৭৮-১৯৫৮)। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ওয়াটনসনের পূর্বগামী হিসাবে থর্নডাইকের (১৮৭৪-১৯৪৯) উল্লেখ করা যায়। জীব-জন্তুর আচরণের উপর থর্নডাইক যে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছিলেন ওয়াটসন তাকেই মনোবিজ্ঞানের নতুন তত্ত্বে ব্যবহার করেন। আচরণবাদ বা ব্যবহারবাদের ক্ষেত্রে ‘আচরণ’ বা ‘ব্যবহার’ শব্দ বিশেষ অর্থ বহন করে। সাধঅরণ জীবনে ‘ব্যবহার’ বা আচরণের সঙ্গে ভালো-মন্দের একটি প্রশ্ন জড়িত থাকে। এবং ব্যবহার বা আচরণ বলতে আমরা কোনো অবস্থায় মানুষের মনের উদ্যোগে গৃহীত কোনো প্রতিক্রিয়ার কথা বুঝাই। সে দিক থেকে অনিচ্ছাকৃত বা বাধ্যতামূলক কোনো প্রতিক্রিয়াকে ব্যবহার বা আচরণ বলঅ হয় না। যেমন একটি আলপিন দিয়ে কারুর আঙুল বিদ্ধ করলে সে হাত টেনে নেয় বা বেদনার্ত চিৎকার করে ওঠে। এ প্রতিক্রিয়া সাধারণ অর্থে ব্যবহার বা আচরণ নয়। কিন্তু আচরণবাদী মনোবিজ্ঞানীর নিকট উল্লিখিত প্রতিক্রিয়াটি ব্যক্তির একটি আচরণ বা ব্যবহার।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠার যোগ্যতা অর্জনের জন্য মোট কয়টি মানদন্ড (criteria ) পূরণ করতে হয়েছে?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে বাংলাদশের প্রোফাইলে এখন বলা আছে, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে ওঠার যোগ্যতা এই মার্চেই অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ১৯৭৫ সাল থেকে জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশ। এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য আয়, মানব সম্পদ সূচক ও অর্থনৈতিক ঝুঁকি সূচক (ইভিআই) এই তিন শর্ত পূরণ করতে হয়, যা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পূরণ হয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় ১ হাজার ২৫ ডলারের নিচে থাকলে সে দেশ এলডিসিভুক্ত হয়, এই আয় ১২৩০ ডলার অতিক্রম করলে ধাপ উন্নয়নের যোগ্যতা অর্জন হয়।
প্রশ্নঃ বাংলাদেশে শিক্ষায় ICT ব্যবহারের প্রধান চ্যালেঞ্জ কোনটি?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ শিক্ষার ভিত্তি বহুলাংশেই তৈরি হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার এই দুটি স্তরই অত্যন্ত দুর্বল। আর সেই দুর্বলতার প্রধান কারণ দক্ষ শিক্ষকের অভাব। সম্প্রতি প্রকাশিত গণসাক্ষরতা অভিযানের এডুকেশন ওয়াচ ২০১৮-১৯ প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাধ্যমিক পর্যায়ে মাত্র ১৫ শতাংশ শিক্ষক দক্ষ এবং উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দক্ষ মাত্র ০.৪ শতাংশ শিক্ষক। এ ছাড়া আছেন পরিমিত দক্ষ ৩৯.৮ শতাংশ, গড়পড়তা দক্ষ ২৭.৬ শতাংশ, সীমিত দক্ষতা আছেন ১৩.৭ শতাংশ এবং একেবারেই অদক্ষ শিক্ষক আছেন ৩.৫ শতাংশ। এমন দক্ষতা নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদান প্রায় অসম্ভব। তার প্রতিফলনও দেখা যাচ্ছে শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে। সরকার নানামুখী চেষ্টা নিলেও সেগুলোর তেমন সাফল্য নেই।
প্রশ্নঃ I have no pen to write ..... .
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ With is a preposition ("a function word that typically combines with a noun phrase to form a phrase which usually expresses a modification or predication"). Although with previously functioned as an adverb and a conjunction, it has not done so for many centuries, and these uses are now quite obsolete.
প্রশ্নঃ কোন দেশের সংবিধান অলিখিত?
Best One ব্যাখ্যা যোগ করুন।বর্ণনাঃ অলিখিত সংবিধান বা unwritten constitution মানে অলিখিত ঠিক না, এর মানে হলো uncodified constitution. Uncodified Constitution বলতে যা বোঝায় তা হলো এখানে বিভিন্ন নিয়ম নিধিগুলি প্রচলিত বিধানের আকার নেয় যা ওই দেশের রাজা, বা শাসকগণ বহুদিন ধরে প্রয়োগ করে এসেছেন। এই জাতীয় সংবিধান গুলি আদালত, ন্যায় বিশেষজ্ঞ, সরকারের বিভিন্ন দপ্তর দ্বারা ঠিক হয়ে এসেছে। উদাহরণ স্বরূপ যেমন ইংল্যান্ড বা ব্রিটেন বা united kindom। এদের সংবিধান হলো অলিখিত সংবিধান। এদের কিন্তু যা সংবিধান সেটি লিখিত রূপেই কিন্তু কিছু কিছু জিনিস তাদের হয় পুরোনো প্রথা মেনে যা তাদের রাজবংশ মেনে চলে এসেছে। অন্য দিকে নেয়া যাক ভারতের সংবিধান। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংবিধান, কারণ এখানে সবকিছুই লিখিত বা codified, যেমন ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কি কাজ, বা রাষ্ট্রপতির কি কাজ, বা একজন নাগরিকের কি কাজ এবং কর্তব্য। আরো সহজ করে বললে, কারো জিনিস চুরি করা অপরাধ। এটি আমরা ছোটবেলা থেকেই শিখেছি, কিন্তু এটা আমরা কিভাবে শিখি? আমরা শিখি মৌখিক ভাবে, আমাদের মা-বাবা, বাড়ির বড় রাই আমাদের সেখান, এটি হলো uncodified একটি নিয়ম। কিন্ত যখন কেউ চুরির দায়ে আদালত যান, তখন জজ সাহেব তাকে বিচার করেন সেই দেশের একটি লিখিত নিয়ম মেনে, যেটি হলো Codified নিয়ম।
দুঃখিত । আপনি লগ ইন করেন নি। কোন প্রশ্ন কে পরিবর্তন করার জন্য প্রথমে আপনাকে লগ ইন করতে হবে।
বিষয়ভিত্তিক সমাধান
প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সমাধান
অনলাইন মডেল টেস্ট
আমাদের সিস্টেম ডেভেলপারগণ এই অপশন নিয়ে কাজ করছে । আগামী ৩১ September অপশনটি শুভ উদ্বোধন করা হবে।
আর মাত্র
বাকি
আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ